বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি সাধারণত এক বছর বা তারও আগে থেকে শুরু করা উচিত। এখানে ধাপে ধাপে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের তালিকা দেওয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:
১. গবেষণা ও পরিকল্পনা (১২-১৫ মাস আগে)
বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ নির্বাচন: আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী কোন দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপযুক্ত তা ঠিক করুন।
কোর্স নির্বাচন: কোন সাবজেক্ট বা প্রোগ্রামে পড়তে চান তা নির্বাচন করুন।
শিক্ষা খরচ ও বৃত্তির সুযোগ: বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি এবং বৃত্তির সুযোগ সম্পর্কে জানুন।
২. পরীক্ষা প্রস্তুতি (১০-১২ মাস আগে)
ভাষা দক্ষতা পরীক্ষা: TOEFL বা IELTS-এর মতো ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন।
অ্যাকাডেমিক পরীক্ষা: GRE, GMAT ইত্যাদি যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে তা প্রস্তুত করুন এবং পরীক্ষা দিন।
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত (৮-১০ মাস আগে)
পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্ট আছে কি না তা নিশ্চিত করুন।
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট: আপনার সমস্ত শিক্ষাগত কাগজপত্র সংগ্রহ করুন এবং প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটগুলো অনুবাদ ও সত্যায়িত করুন।
SOP ও রেফারেন্স লেটার: SOP (Statement of Purpose) এবং রেফারেন্স লেটার তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিন।
৪. আবেদন প্রক্রিয়া শুরু (৬-৮ মাস আগে)
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন: আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন জমা দিন।
বৃত্তির জন্য আবেদন: যদি বৃত্তির প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করুন।
৫. ভিসা প্রক্রিয়া (৩-৫ মাস আগে)
ভিসার জন্য আবেদন: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাওয়ার পরে ভিসার জন্য আবেদন করুন।
ফান্ডিং ডকুমেন্টস: ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট বা ফান্ডিং ডকুমেন্ট তৈরি করুন।
৬. যাত্রার প্রস্তুতি (১-৩ মাস আগে)
আবাসন ব্যবস্থা: বিদেশে কোথায় থাকবেন তা নিশ্চিত করুন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ইনস্যুরেন্স: স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ইনস্যুরেন্স করুন।
যাত্রার টিকিট: ভিসা পাওয়ার পরে বিমানের টিকিট বুক করুন।
এই ধাপগুলো অনুসরণ করে পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে বিদেশে পড়াশোনার জন্য প্রস্তুতি ভালোভাবে সম্পন্ন হবে।
********** সমাপ্ত **********
আরো যা পড়তে পারেন:
"সরকারি কর্মচারীরা যেভাবে সম্পদের বিবরণী জমা দেবে"

