চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর দাখিল প্রক্রিয়া সহজ করতে সম্পূর্ণভাবে
অনলাইন সিস্টেম চালু করে। সেই সময় এনবিআরের চেয়ারম্যান
ব্যক্তি পর্যায়েও
ই-ট্যাক্স বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দেন।
এর অংশ হিসেবে, গতকাল মঙ্গলবার
এনবিআর এক বিশেষ আদেশে চারটি সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আয়কর সার্কেলের
অধীনস্থ সরকারি কর্মচারী, ব্যাংকার,
মোবাইল কোম্পানির
কর্মী এবং ছয়টি বড় কোম্পানির কর্মকর্তা
ও কর্মচারীদের
জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক
করেছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ক্ষমতাবলে
এনবিআর চার ধরনের করদাতাদের
জন্য ইলেকট্রনিক
মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে। প্রথমে রয়েছে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত
সব সরকারি কর্মচারী। দ্বিতীয়ত,
সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা
ও কর্মচারী,
তৃতীয়ত, মোবাইল টেলিকম কোম্পানির
কর্মী, এবং চতুর্থত, ছয়টি বড় বিদেশি কোম্পানির কর্মকর্তা
ও কর্মচারীদের
জন্যও এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ,
ব্রিটিশ আমেরিকান
টোব্যাকো বাংলাদেশ,
ম্যারিকো বাংলাদেশ,
বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, বাটা শু কোম্পানি
এবং নেসলে বাংলাদেশ।
এর আগে সোমবার দুর্নীতি প্রতিরোধে
ডিজিটাল প্রযুক্তি
ব্যবহারের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের সাথে এনবিআর কর্মকর্তাদের
বৈঠকে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সরকারি কর্মকর্তাদের
ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে আয়কর জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়। এছাড়া বড় শিল্প গ্রুপগুলোকেও
ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করার কথা বলা হয়। পরদিনই এনবিআর বিশেষ আদেশ জারি করে।
২০২৪-২৫ করবর্ষে রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজ করতে এনবিআর ৯ সেপ্টেম্বর
থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম উন্মুক্ত
করেছে। ২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার ই-রিটার্ন জমা পড়েছে। সরকারের লক্ষ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে
১০ লাখ করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দেবেন।
এই সিস্টেমের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়ার পাশাপাশি
ইন্টারনেট ব্যাংকিং,
ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের
মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে পারছেন। এছাড়া, জমা করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র,
আয়কর সনদ এবং টিআইএন ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে।
